রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
রংপুরে মর্ডাণ মোড়ে স্থানীয় ১৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোক্তারুল ইসলাম বাবু নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী। এঘটনায় তারা গতকাল রোববার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে ৫ শতাধিক বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী মর্ডাণ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।এতে রংপুর-ঢাকা-দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্থানীয় এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের এ ঘটনায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা মোক্তারুল ইসলাম বাবুকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গাড়ির পার্কিং ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিরোধ এবং অধিপত্য বিস্তার জেরে এঘটনা ঘটে।
যুবলীগ নেতা মোক্তারুল ইসলাম বাবুর বাবা হাফিজার রহমান মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘তাজহাট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন মিয়া ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বী হাসানের নেতৃত্বে আশিক, মিঠু, মিরাজ, রিপন, সাগর ও সামসুলসহ ছাত্রলীগের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী মডার্ন মোড়ে অবস্থিত পুলিশের ট্রাফিক্স বক্সের ১০০ গজ পশ্চিমে সাইফুল ইসলাম সবুজের চায়ের দোকানের সামনে আমার ছেলে বাবুর ওপর হামলা চালায়। তারা চাপাতি দাসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা আমার ছেলের বাম হাতের কবজি থেকে গিরা পর্যন্ত এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তার হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে বাবুকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’
পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং ৪/৫ জন অজ্ঞাতজনকে আসামি করে মামলা দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। আমার ছেলে এখন পঙ্গু হওয়ার পথে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই- আইনগত ও দলীয়ভাবে।’ তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ রহস্য জনক কারণে আসামীদের গ্রেফতার করছে না।
এব্যাপারে রংপুর মহানগর যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যেহেতু মামলা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’তাজহাট মেট্রোপলিচন থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনা শোনার পরপরই ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় আহত মোক্তারুল ইসলাম বাবুর পিতা হাফিজার রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে চেষ্টা চলছে।